SAWM-UNICEF Dhemaji Field Trip – SAWM Sisters https://dev.sawmsisters.com South Asian Women in Media Tue, 03 Jan 2023 16:09:38 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.5.5 https://dev.sawmsisters.com/wp-content/uploads/2022/08/sawm-logo-circle-bg-100x100.png SAWM-UNICEF Dhemaji Field Trip – SAWM Sisters https://dev.sawmsisters.com 32 32 Living with floods: Dhemaji District Assam https://dev.sawmsisters.com/living-with-floods-dhemaji-district-assam/ Tue, 03 Jan 2023 16:09:38 +0000 https://sawmsisters.com/?p=6173 Imagine living with floods for six months in a year! This is a reality for the people of Dhemaji District in Upper Assam. Floods have become a part and parcel of their lives for decades now. They have no option but to adapt to living with floods which they cannot escape owing to the geographical [...]]]>

This story first appeared in Ukhrul Times

Imagine living with floods for six months in a year! This is a reality for the people of Dhemaji District in Upper Assam. Floods have become a part and parcel of their lives for decades now. They have no option but to adapt to living with floods which they cannot escape owing to the geographical location of the district. As many as 26 tributaries, all originating from Arunachal Pradesh, run through the district. Some of them are Jiadhal, Gainodi, Dikhari, Dihang, Dimow, Simen and Subansiri, which is the biggest tributary. These rivers overflow during rainy seasons and inundate 60 to 70 per cent of the total areas of Dhemaji district every year.

The Director of Rural Volunteer Centre, an organisation aimed at building community resilience in the flood-prone area of Dhemaji, Luit Goswami, said the district started witnessing major floods in the 1980s and it has become worse since then owing to global climate change. As many as three flood waves hit Dhemaji District in 2022, affecting over 100,000 people, including 30,000 children. I got an opportunity to visit two of the most affected villages in the district as a delegate for South Asian Women in Media (SAWM) on a recent trip under the UNICEF Assam-supported risk-Adapted Program.

It was heart wrenching to listen to their woes brought on by the forces of nature. The first village we visited was Medhipamua, which is inhabited mostly by the people of the Mising Tribe, and the second village was Junai. I met the villagers in the dry season when they were in lighter hearts. Their hospitality was vivid when they received us with their beautiful hand-crafted colourful traditional stoles.

Seasonal displacement is observed among the villagers, as most male members move to cities to earn income while the female members stay behind. “I miss my son and want him to stay here with me but I cannot do that because there is nothing here”, says a mother. Villagers said water and sanitation are the two major issues facing them in times of floods. In order to prevent water from entering their homes, villagers have constructed raised houses on high foundations. They have also constructed higher platforms to house relief camps for them to stay in during floods. Each year, relief camps spring up to accommodate a large number of families for extended periods of time until the water recedes. Despite the challenges, they have thrived; these villagers have built resilience over the years and adapted to the situation at Hand, says Goswami.

Local Panchayats, PHED, RVC and UNICEF have converged to help these villagers adapt to their environment. Based on the traditional ingenuity of building houses on high foundations, villagers have built higher platforms to house relief camps, raised water hand-pumps to provide safe water and raised toilets to ensure sanitation in times of floods. Goswami says they have built 51 such converged structures in 3 years. As most of these villages have almost transformed into virtual deserts due to siltation from floods, paddy cultivation has become challenging. Villagers are now turning towards cultivation of rabi and cash crops like mustard, potato, green peas, garlic, and french beans, which are less time-consuming and economically more viable. A villager said the Bogibeel bridge, connecting Dhemaji and Dibrugarh, has brought in traders from Tinsukia, Dibrugarh, Jorhat and Nagaland to collect their produce.

We cannot change the course of nature. Coming up with new ideas and finding ways to mitigate situations at hand is the best we can do. Convergence of the locals, organizations and authorities and most of all the resilience of these inhabitants are definitely something we can promote.

Link to original story

]]>
দিব্যি কাজ করে শিশু গ্রামসভা https://dev.sawmsisters.com/%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%bf-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%9c-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%81-%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae/ Tue, 03 Jan 2023 16:04:26 +0000 https://sawmsisters.com/?p=6169 ব্রহ্মপুত্রকে পিছনে রেখেই মাটির অপরিসর পথ বেয়ে এগোলে গ্রামের স্কুল। ঈর্ষণীয় তার সামনের মাঠটুকু। প্রকৃতিপাঠের সুন্দর আসর। কয়েক পা দূরেই চলছে রাস্তা আর বাঁধ বানানোর কাজ। জাতীয় সড়ক থেকে রাস্তাটা ডান দিকে ঘুরতেই অসমের চোখজুড়োনো গ্রাম। পড়ন্ত দুপুরে বাঁধাকপির খেত, টলটলে জলে মাছ-ধরা জালের দৃশ্য পিছনে ফেলে বেশ কিছুটা এগোতেই চমক। চটচটে সাদা বালিতে ঢাকা [...]]]>

This story first appeared in www.anandabazar.com

ব্রহ্মপুত্রকে পিছনে রেখেই মাটির অপরিসর পথ বেয়ে এগোলে গ্রামের স্কুল। ঈর্ষণীয় তার সামনের মাঠটুকু। প্রকৃতিপাঠের সুন্দর আসর। কয়েক পা দূরেই চলছে রাস্তা আর বাঁধ বানানোর কাজ।

জাতীয় সড়ক থেকে রাস্তাটা ডান দিকে ঘুরতেই অসমের চোখজুড়োনো গ্রাম। পড়ন্ত দুপুরে বাঁধাকপির খেত, টলটলে জলে মাছ-ধরা জালের দৃশ্য পিছনে ফেলে বেশ কিছুটা এগোতেই চমক। চটচটে সাদা বালিতে ঢাকা রাস্তা, উঠোন। এ জায়গা ব্রহ্মপুত্রের অদূরে গড়ে ওঠা গ্রাম, বেড়াছাপুরি। বছর দুয়েক আগের বন্যায় উত্তাল ব্রহ্মপুত্র গ্রামে ঢুকে উপুড়হস্তে বালি ঢেলে ফিরে গিয়েছিল যথাস্থানে। সেই বালিতেই ডুবেছে গ্রাম। বালি আর নদীর সঙ্গে অবিরাম লড়াই গ্রামের মানুষদের।

ব্রহ্মপুত্রকে পিছনে রেখেই মাটির অপরিসর পথ বেয়ে এগোলে গ্রামের স্কুল। ঈর্ষণীয় তার সামনের মাঠটুকু। প্রকৃতিপাঠের সুন্দর আসর। কয়েক পা দূরেই চলছে রাস্তা আর বাঁধ বানানোর কাজ। বালি আর ধুলো উড়ে সমানে ঢেকে দিচ্ছে ক্লাসের চেয়ার-টেবিল। মিহি ধুলোয় শহুরে শ্বাস আটকে আসে যেন। পড়ুয়ারা অবিচল। ‘মক ড্রিল’-এর প্রস্তুতিতে ব্যস্ত।

ফি শনিবার স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ক্যাপ্টেনের নেতৃত্বে মহড়া দেয় বন্যা-ভূমিকম্পের হাত থেকে বাঁচার, করোনাকালে নিয়ম মেনে হাত ধোয়ার। রূঢ় বাস্তবের সঙ্গে লড়াই করে যাদের বাঁচতে হয়, তাদের এই জীবনের পাঠও জরুরি বইকি। অসমের ধেমাজি জেলা অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। ফলে বিপদ মাথায় নিয়েই দিন কাটে বাসিন্দাদের। আর বন্যা তাদের নিত্যসঙ্গী। বছরের ছ’মাস চলে নদীর সঙ্গে এক অসম জলযুদ্ধ। সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে শহর ছেড়ে অনেক ভিতরে, মূলত জনজাতি অধ্যুষিত গ্রামের এক অনামী বিদ্যালয় কী ভাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও সেই যুদ্ধে জেতার মন্ত্র শেখানোর চেষ্টা করছে, দেখে মুগ্ধ হতে হয়। স্কুলেই থাকে পরিপাটি ফার্স্ট এড বক্স, পড়ুয়াদের একাংশ ব্যান্ডেজ বাঁধা, ক্ষত ঢাকার প্রাথমিক পাঠ রপ্ত করেছে সযত্নে, শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে।

ঠিক এখানেই সদিচ্ছার প্রশ্নটা প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। শিশুদের নিয়ে গঠনমূলক কিছু করে ওঠার সদিচ্ছা। শুধু সিলেবাসটুকু শেষ করা নয়, শুধু পরিকাঠামোর অভাবের অভিযোগ নয়, বরং সীমাবদ্ধ পরিকাঠামোকেই ব্যবহার করে শিশুকে গড়ে তোলার সদিচ্ছা। সেই সদিচ্ছা আপার অসমের ধেমাজি জেলার জনজাতি অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে স্পষ্ট চোখে পড়ে। ধেমাজি ভারতের অন্যতম বন্যাপ্রবণ অঞ্চল। জলবায়ু পরিবর্তনের দাপটে পাল্টে যাচ্ছে বন্যার গতিপ্রকৃতি। প্রস্তুত হওয়ার সময়টুকুও মিলছে না। এমতাবস্থায় মানুষের সুরক্ষা, তাঁদের জীবিকার দিকটি অক্ষত রাখার প্রচেষ্টারই সর্বাধিক গুরুত্ব পাওয়ার কথা ছিল। সেই কাজ চলছে। পাশাপাশি চলছে শিশুর অধিকারগুলি যেন বন্যার জলে ভেসে না যায়, সেই চেষ্টাও। ইউনিসেফ, স্থানীয় অসরকারি সংস্থা এবং সরকার— যৌথ ভাবে। সাগ্রহে শামিল হয়েছেন অভিভাবকেরাও।

২০১৬ সাল থেকেই ধেমাজি এবং মাজুলিতে বন্যা থেকে বাঁচতে নিরাপদ স্থায়ী প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে ‘চাইল্ড ফ্রেন্ডলি স্পেস’ বানানোর প্রচেষ্টা শুরু করে ইউনিসেফ এবং স্থানীয় অসরকারি সংস্থা। রাজ্যের মধ্যে প্রথম। পরবর্তী কালে সেই ধারণাকেই গ্রহণ করে রাজ্য সরকার। এবং ত্রাণ শিবিরের মধ্যেই ‘শিশু সহায়ক পরিবেশ’ গড়ে তোলা বাধ্যতামূলক করে। দীর্ঘ বন্যার সময়কালে এক সময় পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। পরবর্তী কালে শুরু হয় বানভাসি এলাকায় শিক্ষকদের ত্রাণশিবিরে এসে পাঠ দেওয়ার কাজ। অনেকটা লকডাউনের সময় স্কুল বন্ধ থাকাকালীন শিক্ষাদানের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ রাখার যে পন্থাটির কথা পশ্চিমবঙ্গেও শোনা গিয়েছিল। দুর্ভাগ্য, কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সেই উদ্যোগ বিশেষ চোখে পড়েনি।

শিশুকল্যাণ উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া বিষয় হতে পারে না। অথচ, বাস্তবে তার অনুশীলনই দেখা যায়। শিশুরা কী চায়, সে নিয়ে আদৌ কেউ ভাবে না। অথচ, ওদের ভাবনাগুলোর কণ্ঠে স্বর দেওয়ার বড় প্রয়োজন। লাইমাকুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে জানা গেল ‘শিশু গ্রামসভা’র কথা। শিশুরা তাদের গ্রামের, নিজেদের সমস্যার কথা যেখানে তুলে ধরতে পারে, তার মঞ্চ। স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং পঞ্চায়েত সদস্যদের উপস্থিতিতে তারা জানাল, অনলাইন পঠনপাঠনের জন্য ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ নেওয়া হলেও তাতে মাঝেমধ্যেই আপত্তিকর ভিডিয়ো, পপ-আপ ভেসে ওঠে। অভিভাবকরা ইন্টারনেট সংযোগ কেটে দেন। পড়ুয়ারা অসুবিধায় পড়ে। শিশু গ্রামসভার বক্তব্য শুনে পঞ্চায়েত তার নিরসনের চেষ্টা করবে, এমনটাই আশা। এই ‘কনসেপ্ট’ পরিপূর্ণ রূপ এখনও পায়নি, তবু শিশু-ভাবনাগুলিকে পরিবারের মধ্যেই ধামাচাপা না দিয়ে তাকে যে সরকারের কানে তোলার চেষ্টা চলছে, সেটাই বা কম কিসের।

শীতের বিকেল দ্রুত নামে। হাওয়াই চটি, সস্তার জুতো পরা পায়ের সারি দূর গ্রামের পথ ধরে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। কত অনাদরই না জোটে তাদের কপালে। শিক্ষকের অভাবে শিক্ষা অপূর্ণ থাকে, অপ্রতুল সরকারি বরাদ্দে আধপেটা মিড-ডে মিলে সন্তুষ্ট হতে হয়। তবুও কিছু আলোর ফুলকি ইতিউতি চোখে পড়ে। এই ঘোর অন্ধকারে সেই ফুলকিগুলোর বড় প্রয়োজন।

Link to original story

]]>
असम का यह ज़िला जो साल के आठ महीने बाढ़ में डूबा रहता है https://dev.sawmsisters.com/%e0%a4%85%e0%a4%b8%e0%a4%ae-%e0%a4%95%e0%a4%be-%e0%a4%af%e0%a4%b9-%e0%a5%9b%e0%a4%bf%e0%a4%b2%e0%a4%be-%e0%a4%9c%e0%a5%8b-%e0%a4%b8%e0%a4%be%e0%a4%b2-%e0%a4%95%e0%a5%87-%e0%a4%86%e0%a4%a0-%e0%a4%ae/ Tue, 03 Jan 2023 15:53:57 +0000 https://sawmsisters.com/?p=6165 This story first appeared in Youth Ki Awaaz भारत के असम राज्य के उत्तर पूर्वी हिस्से में स्थित है धेमाजी जिला। इसका मुख्यालय धेमाजी में स्थित है। इसके उत्तर में अरुणाचल प्रदेश, पूर्व में तिन्सुकीआ जिला, दक्षिण में डिब्रूगढ़ जिला तथा पश्चिम में लखीमपुर जिला स्थित है। कभी आसाम के ‘धान का कटोरा’ के नाम […]]]>

This story first appeared in Youth Ki Awaaz

भारत के असम राज्य के उत्तर पूर्वी हिस्से में स्थित है धेमाजी जिला। इसका मुख्यालय धेमाजी में स्थित है। इसके उत्तर में अरुणाचल प्रदेश, पूर्व में तिन्सुकीआ जिला, दक्षिण में डिब्रूगढ़ जिला तथा पश्चिम में लखीमपुर जिला स्थित है। कभी आसाम के ‘धान का कटोरा’ के नाम से मशहूर इस जिले के अधिकांश निवासी मिसिंग जनजाति के हैं। इनके अलावा यहां हेजोंग, बोडो तथा सोनोवाल जनजाति के लोग भी रहते हैं।

ब्रह्मपुत्र नदी के उत्तर में स्थित धेमाजी जिला चारों से से अरुणाचल प्रदेश की पहाड़ियों से घिरा हुआ है। वर्षों से यह शहर अपने धान तथा सरसों के खेतों के लिए विख्यात रहा है। साथ ही, हिमालय और ब्रह्मपुत्र नदी के होने से यहां की धरती को अन्य कई प्रकार की वनस्पतियों से आच्छादित रहने का गौरव प्राप्त है। प्राचीन काल में ऐतिहासिक अहोम शासकों की राजधानी रहा यह शहर इक्कीसवीं सदी में सबसे पहले चर्चा में तब आया था, वर्ष 2004 में उल्फा उग्रवादियों ने एक स्थानीय स्कूल में हमला करके तीस से अधिक बच्चों की जान ले ली थी। उसके बाद वर्ष 2018 में असम के धेमाजी और डिब्रूगढ़ जिलों को जोड़ने वाले देश के सबसे बड़े रेल-रोड ब्रिज बोगीबील पुल ने विश्व पटल पर इस जिले की पहचान स्थापित करने में अहम भूमिका निभाई। यह पुल ब्रह्मपुत्र नदी के उत्तर और दक्षिण तट को जोड़ता है।

साल के आठ महीने रहती है बाढ़ की स्थिति

ब्रह्मपुत्र नदी को असम की लाइफलाइन माना जाता है। आधिकारिक सूचना के अनुसार, यह जिला हर साल मई से लेकर अक्टूबर के बीच ब्रह्मपुत्र नदी तथा उसकी सहायक नदियों में उफान आने से यह इलाका पूरी तरह बाढ़ से प्रभावित रहता है, लेकिन बीते दो दशक में यह स्थिति पूरी तरह से बदल गयी है। फिलहाल जो स्थिति है, उसमें यह कहना बहुत ही मुश्किल है कि बाढ़ का पानी कब धेमाजी के गांवों में तबाही मचाने के लिए पहुंच जायेगा। असम के आपदा प्रबंधन प्राधिकरण (ASDMA) के अनुसार गत वर्ष धेमाजी जिले में बाढ़ से 15,084 लोग प्रभावित हुए थे। स्थानीय लोगों की मानें, तो अस्सी के दशक से पहले धेमाजी में जून से सितंबर के बीच बरसात का मौसम होता था। इस दौरान भारी बारिश होती थी। बावजूद इसके बाढ़ की स्थिति कभी-कभार ही करना पड़ता था, लेकिन 1984 के बाद से शायद ही कोई ऐसा साल बीता हो, जब धेमाजी ने बाढ़ आपदा न आयी हो। स्थानीय निवासी दीप जिमे कहते हैं- “अब तो हालात यह हैं कि साल के आठ महीने लोग बाढ़ की विभीषिका झेलते हुए रिलीफ कैंप में बिताते हैं और बाकी के चार महीनों में, जब पानी नीचे उतरता है, तो अपनी आजीविका हेतु खेती-बाड़ी या अन्य कोई कार्य-व्यापार करते हैं।”

बाढ़ का पानी अपने साथ लाता है सैकड़ों टन गाद

वर्तमान में 65 ग्राम पंचायतों सहित कुल 1236 रिहायशी गांवों के समूह धेमाजी में अब तक 79 गांव ऐसे भी हैं, जो बाढ़ की विभीषिका में पूरी तरह से उजड़ चुके हैं। अब वहां कोई आबादी नहीं बसती। बाढ़ का पानी अपने साथ पहाड़ों से भारी मात्रा में बालू भी बहा कर लाता है, जो गाद के रूप में खेतों में जमा हो जाता है। जब तक इस गाद को हटाया न जाये, तब तक यहां खेती-बाड़ी करना मुश्किल होता है। मेदिपोमुआ गांव के निवासी शिवशंकर मोइत्रो बताते हैं कि ”इस इलाके में मूल रूप से धान की खेती होती है। इसके अलावा हमलोग मटर, आलू और लहसुन भी उगा लेते हैं। पहले खेती-बाड़ी करके ही हमारा गुजारा हो जाता था, लेकिन अब बाढ़ और उसके बाद जमनेवाले बालू के गाद के कारण खेती-बाड़ी को काफी नुकसान पहुंचा है। आठ महीने हम बाढ़ की परेशानी झेलते हैं और फिर एक-डेढ महीने खेतों में जमे गाद को हटाने में लग जाते हैं। उसके बाद बचे समय में ही जो थोड़ा-बहुत उग पाया, वो उगा कर किसी तरह अपना और अपने परिवार का पेट पालते हैं।” मेदिपोउमा गांव की निवासी मिथाली दोले कहती हैं-

“बाढ़ ने हमारे घर-परिवार तथा आजीविका के साथ-साथ हमारे पालतू पशु-पक्षियों को भी काफी नुकसान पहुंचाया है। लाख कोशिशों के बावजूद हर साल सैकड़ों की संख्या में इनकी मौत होती है।” वह आगे बताती हैं कि- ”बाढ़ के दौरान प्रशासन द्वारा हर गांव में एक नाव की सुविधा मुहैया करवायी जाती है। जरूरी सामान लाने के लिए हमें नाव पर बैठ कर 15-20 किलोमीटर दूर बाजार जाना पड़ता है। हमारे बच्चों की पढ़ाई-लिखाई भी इससे कुप्रभावित होती है।”

कई गांवों पर मंडरा रहा है अस्तित्व का संकट

इस क्षेत्र में बाढ़ के प्रभावों का अध्ययन करने एवं स्थानीय स्तर पर राहत कार्य चलानेवाली स्वैच्छिक संस्था रूरल वॉलंटियर सेंटर के निदेशक लुइत गोस्वामी कहते हैं- ”पिछले कुछ दशकों में विकास के नाम पर भारी संख्या में होनेवाली पेड़ों तथा पहाड़ों की कटाई की वजह से आज यह स्थिति उत्पन्न हुई है। पहले करीब 3000 फीट ऊंचे तिब्बती पठारों से बहता हुआ ब्रह्मपुत्र नदी का पानी जब 150 मीटर की रफ्तार से जब नीचे आता था, तो रास्ते में पड़नेवाले पेड़, पठार, चट्टान आदि उसकी रफ्तार को कम करने में अहम भूमिका निभाते थे,लेकिन जैसे-जैसे इनकी संख्या कम होती गयी, वैसे-वैसे यह पानी सीधे आकर आसाम के मैदानी इलाकों में फैलने लगा है। ब्रह्मपुत्र की सहायक नदियां इस दबाव का झेल नहीं पातीं। नतीजा साल-दर-साल बाढ़ की विभीषिका कठोर से कठोरतम होती जा रही है। कई गांवों का तो अस्तित्व ही समाप्त हो चुका है।” बाढ़ की इस विभीषिका के सदंर्भ में जाने-माने पर्यावरणविद तथा अशोका फेलोशिप से सम्मानित प्रोफेसर रविंद्र की मानें तो ‘हम जाने-अंजाने विकास के नाम पर अपने विनाश का जश्न मना रहे हैं। विकास का वास्तविक आनंद प्रकृति को साथ लेकर चलने पर ही प्राप्त किया जा सकता है, जबकि सरकार ठीक इसका उल्टा कर रही है। अगर समय रहते इस भूल को सुधारा न गया, तो धेमाजी जैसे कई इलाकों की सभ्यता-संस्कृति का पूरा समूल जलमग्न हो सकता है।’

Link to original story

]]>